স্টাফ রিপোর্টার : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কমিটি ‘মজলিসে শূরা’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরীকে সহযোগী পরিচালক, আল্লামা মুফতী নূর আহমদকে শিক্ষাসচিব এবং মাওলানা আনাস মাদানীকে সহকারী শিক্ষাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আজ (১৫ জুলাই) শনিবার সকাল ৯টায় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা মহাপরিচালকের কার্যালয়ে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) এর সভাপতিত্বে মজলিসে শূরা’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী বৈঠকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা বিভাগ, হিসাব বিভাগ ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উপর দীর্ঘ পর্যালোচনা ও নীরিক্ষা করা হয়। বৈঠকে শূরার সকল সদস্য শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আমদ শফী (দা.বা.) এর সুদক্ষ পরিচালনায় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার অভূতপূর্ব উন্নতি, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছ ও সুন্দর ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একই সাথে শূরা সদস্যগণ আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.)এর আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘ হায়াতের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন।
মজলিশে শূরার বৈঠকে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমান মহাপরিচাল আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) এর শারীরিক অসুস্থতার দিকটি বিবেচনায় এনে তাঁকে দৈনন্দিন কাজে সহযোগিতা করার জন্য আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরীকে সহযোগী পরিচালক হিসেবে নিযুক্তি দেওয়া হয়। অন্যদিকে আল্লামা মুফতী নূর আহমদকে শিক্ষাসচিব এবং মাওলানা আনাস মাদানীকে সহকারী শিক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) অবসরে যাচ্ছেন বলে কতিপয় সংবাদপত্রে পরিবেশিত সংবাদকে চরম বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে মজলিশে শূরার সদস্যবৃন্দ এর নিন্দা জানিয়ে বলেন যে, বর্তমান মহাপরিচালকের জীবদ্দশায় কাউকে কখনোই ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হবে না। দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার ইতিহাসে এমন নজির নেই। দুপুর ১২টায় দোয়ার মাধ্যমে মজলিশে শূরার বৈঠক শেষ হয়।
Leave a Reply