টাঙ্গাইল : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে তাগুতি ও শয়তানী শক্তিগুলো উঠেপড়ে লেগেছে। মাদরাসাগুলো যেন বন্ধ হয়ে যায় তার সকল প্রস্তুতি আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্নভাবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কওমী মাদরাসাগুলোকে জঙ্গিবাদের আস্তানা ও প্রজনন কেন্দ্র বলে অপপ্রচার চালালেও তাদের থেকেই এখন ভিন্ন কথা বের হচ্ছে ‘যে, কওমী মাদরাসা জঙ্গিবাদ শেখায় না” এটা আল্লাহর শোকর। কিন্তু সরকারের ছত্রছায়ায় নাস্তিক-মুরতাদ ও ধর্মবিদ্বেষীরা থেমে নেই। তারা সিন্ডিকেট করে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে কওমী শিক্ষা আরশে আজীমে কবুল হয়ে গেছে। এ শিক্ষা দমানোর শক্তি পৃথিবীতে নেই। কতিপয় মুরতাদরা মনে করছে কুরবানীর চামড়াই কওমী মাদরাসার ভরসা। এজন্য চামড়া না কিনার সিন্ডিকেট করেছে। কিন্তু এতে যে দেশের অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে ইন্ডিয়ায় পাচার হচ্ছে সেটা কেউ মালুম করতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, চামড়ার মাধ্যমে যদিও মাদরাসার আয় হতো। কিন্তু গত বছর যে চামড়া নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে তাতে কি কওমী মাদরাসা বন্ধ হয়ে গেছে? বরং দিন দিন মাদরাসার সংখ্যা বাড়ছে এবং হাই সোসাইটির ছেলে-মেয়েদেরকে এখন কওমী শিক্ষায় শিক্ষিত করছে। এমনকি বুয়েট ও ঢাবির অনেক শিক্ষক তাদের একমাত্র সন্তানকে কওমী মাদরাসায় পড়াচ্ছেন। কাজেই কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে আরজে আজীমে কবুল হওয়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে পারবে না। বরং যারাই চক্রান্ত করবে, তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে। এর চেয়ে ভাল দ্বীনি শিক্ষাকে সহযোগিতা করে নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে বাঁচান তাহলে দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে।
সোমবার (২১ আগস্ট’১৭) টাঙ্গাইল ধনবাড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বিশাল ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
Leave a Reply