আইএবি নিউজ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, আরাকান রাজ্য হতে মুসলমানদের বিতাড়িত করতেই পরিকল্পিত গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে কথিত শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি ও মায়ানমার সেনাবাহিনী। তারা রোহিঙ্গা নিধনের মদদদাতা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছেন। তাই শুধু লোক দেখানো নিন্দা নয় বরং মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে বাধ্য করতে বিশ্বনেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। সাথে সাথে জাতি নিধন ও গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে সূচি ও সামরিক জান্তার বিচার করতে হবে।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা বন্ধের দাবীতে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে নিরাপদে স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং কফি আনান কর্তৃক প্রস্তাবিত সুপারিশমালা অবিলম্বে বাস্তবায়নে জাতিসংঘকে কার্যকরী ভুমিকা পালন করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতী মানসুর আহমদ সাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। যুবনেতা মু. বশির উল্লাহ, আতিকুর রহমান মুজাহিদ, মোখতার হোসাইন, শেখ মু. নুর-উন-নাবী ও মাহবুব আলম।
বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাঈম, ঢাকা জেলা সভাপতি মাওলানা বিল্লাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মাওলানা আব্দুল আহাদ প্রমুখ।
প্রধান বক্তা ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমার সরকার যে যুক্তিতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করছে তা একেবারেই অযৌক্তিক। ১৯৮৪ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে বার্মা স্বাধীন হওয়ার পর এবং পরবর্তীতে রোহিঙ্গাসহ সব জাতি গোষ্ঠিকে পূর্ণ নাগরিকত্ব এবং সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্বও দেয়া হয়। আরাকানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।মিয়ানমার যে বর্বরতা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে যৌক্তিকভাবে তার পাল্টা জবাব দিতে হবে বিশ্ব মুসলমানদেরকে।
সভাপতির বক্তব্যে মুফতী মানসুর আহমদ সাকী বলেন, মিয়ানমার মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করছে। সে দেশের সামরিক শাসকরা হঠাৎ করেই আবিষ্কার করে বসে যে, রোহিঙ্গা বার্মিজ নয়; তারা বাঙ্গালী। যদি রোহিঙ্গারা বাঙ্গালী ও বাংলাদেশী হয় তবে আরাকান রাজ্য বাংলাদেশের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। সভাপতি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাদেরকে সে দেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য বিভিন্ন সামরিক ও রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ চলছে। মুসলমানদের স্বাথেই তাগুতি শক্তির মোকাবেলায় সীসাঢালা প্রাচীর তৈরী করে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
Leave a Reply