স্টাফ রিপোর্টার : দেশে শুরু হয়েছে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তোড়জোড়। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপিতে এ নিয়ে চলছে আলোচনা। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বড় দলগুলোতে রয়েছে নানা মত। নির্বাচন কমিশন বড় দলগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে বৈঠক করেছে নির্বাচনী পরিচালনা নিয়ে। সব ঠিকটাক থাকলে ২০১৮ সালের শেষের দিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা।
এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি চলছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বড় দলগুলোতে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই অন্যতম বড় ইসলামী দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬ সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি।
জানা গেছে, সারা দেশের ৩ শ আসনেই থাকবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী। পীর সাহেব চরমোনাইর নির্দেশ হচ্ছে “বক্স খালি আসুক আর ভরা আসুক, তিনশ আসনেই আমাদের প্রার্থী থাকবে”। পীর সাহেব হুজুরের নির্দেশে সারা দেশে প্রার্থী বাচাই ও চুড়ান্ত করণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগে ভাগে প্রার্থী ঠিক করে না রাখলে পরে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় আসন শুন্যও থেকে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় সংসদীয় আসন ৬টিতে সম্ভাব্য প্রার্থী নির্ধারন করেছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শুরা অধিবেশনে ৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম-১১ (বোয়ালখালী) আসনে-ডাঃ ফরিদ খান, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ড. বেলাল নুর আজিজী, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে মাওলানা নুরুল আলম তালুকদার, ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ ফরিদ আহমদ আনসারী।
বাকি চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনে প্রার্থী নির্ধারন করা না হলেও শীঘ্রই এ আসনেও প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি শওকত হোসেন চাটগামী জানান, প্রাথমিক ভাবে ৫টি আসনে প্রার্থী নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকি আরেকটি আসনেও প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের স্ব-স্ব আসনে এখন থেকেই নির্বাচনী পক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply