ইউসুফ পিয়াস, নোয়াখালী দক্ষিণ সংবাদদাতাঃ দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্বির প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রোজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, জনবিচ্ছিন্ন সরকার জনগনের সাথে দ্রব্যমূল্য নিয়ে তামাশায় লিপ্ত হয়েছে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রনে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। চাল ,পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আধুনিক রাষ্ট্রের মৌলিকত্ব। সাম্প্রতিক একটা রায় নিয়ে আদালতের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তা কেবল ইউরোপিয় অন্ধকার যুগেই চিন্তা করা যায়। ২০১৪ এর ভোটারবিহীন নির্বাচনে জনপ্রত্যাখ্যাত “জনপ্রতিনিধি” দ্বারা সংসদ গঠিত হয়েছে। সেখানে আইন তৈরী হয় না; বরং উগ্র-পরনিন্দা হয়। জনস্বার্থে আলোচনা হয় না; বরং নিজ স্বার্থে উচ্চ নেতৃত্বের তৈল মর্দন হয়। কোথাও বিরুদ্ব কিছু বললে বা লিখলেই মামলা হয়। রাষ্ট্রের কাজে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রকাশে রাজপথে নামলে লাঠিপেটা হয়। ৫৭ ধারার মাধ্যমে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করা হয়। মজুতদারদের কারসাজিতে দুর্ভিক্ষের পদ্বধনী শোনা যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিতে হাওর ভেসে যায়। ভারতের পানি সন্ত্রাসে উত্তরাঞ্চল ডুবে যায়। সরকারি ব্যাংকের টাকা চিহ্নিত চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়, সরকার চোর না ধরে ব্যাংকে আবারো মূলধন জমা করে। দেশের এই এক ভয়ংকর অবস্থা। অদ্য ০৩ নভেম্বর’১৭ শুক্রবার বাদ জুমআ নোয়াখালী পৌর ঈদগাহ ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে শাখা সভাপতি হাফেজ মাও.নজীর আহমাদ-এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী মাও.মাসউদ -এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথা বলেন। পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, সংখ্যালগু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব সংস্থাগুলো বক্তব্য বিবৃতির আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ব। বৃটিশরা ক্ষমতায় থাকাকালীন রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা তৈরী করে এ সমস্যার জন্ম দিয়েছিল। এখন তারা চুপ কেন? তাই বিশ্ব নেতৃত্বকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান না হলে বিশ্বমুসলিম বসে থাকবে না। তিনি জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ সকল বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত এগিয়ে আসার আহবান জানান। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল নেসার উদ্দিন , ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সেক্রেটারী জেনারেল শেখ-মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মাও.শহীদুল ইসলাম, মুফতি জসিম উদ্দিন, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ সাদ্দাম, মুহাম্মদ আবদুল মুকিতসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply