আইএবি নিউজ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম-পীর।সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মাহে রমজানের শিক্ষা সমাজে না থাকায় মানুষ মনুষ্যত্ব হারিয়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ইসলাম সম্পর্কে ধারণা না থাকায় কতিপয় মানুষ নিজেদেরকে মুসলমান বলে পরিচয় দিয়েও মুসলমান ও ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, ইদানিং মূর্তির পক্ষে অনেক মুসলমান অবস্থান নিয়ে নিজেদের ঈমানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নাস্তিক বেঈমান মৃণাল হক মূর্তির মিশন নিয়ে কাজ করছে। মূর্তি স্থাপনের কথা বলে বিদেশী সহযোগিতা নিয়ে মুসলমানদের ঈমান ও আমলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কত বড় বেঈমান হলে মৃণাল হক বলতে পারে “মা মারা যাওয়ার পরও এত কান্না করিনি মূর্তির জন্য যত কান্না করেছি” এরা মুসলমান নামের কলঙ্ক। এরা মূর্তির দোসর। মূর্তির সাথে তাদের হাশর হবে। এ মৃণালদেরকে বয়কট করতে হবে। এরা ইসলামের চরম দুশমন।
তিনি বলেন, রমজান মাস আসার আগেই দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতিতে জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলে এক শ্রেণির মুনাফাখোরী চক্র। আর এটা হয়েছে রমজানের শিক্ষা না থাকায়।
বুধবার (৩১ মে) সকালে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ৪র্থ দিনের আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।
তালিম তারবিয়াতে ধর্মপ্রাণ জনতার ভীড় ক্রমশই বাড়ছে। এতে শায়েখ চরমোনাই ছাড়াও প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, আল্লামা আইয়ূব আলী আনসারী, মাওলানা মুজিবুর রহমান কালিশ্বরী, মুফতী ইসহাক মু. আবুল খায়ের চেয়ারম্যানসহ চরমোনাই’র খলিফাগণ আলোচনা করেন।
তিনি আফসোস করে বলেন, দেশে এসব কী হচ্ছে? মূর্তি সরিয়ে তা আবার পুনঃস্থাপন কী উদ্দেশ্যে। তাহলে পৌত্তলিকতার দিকে নিয়ে যেতেই সব আয়োজন? মুসলমানরা জীবন ও রক্ত দিয়ে হলেও শিরকের প্রতীক মূর্তি ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে, ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply