আইএবি নিউজ : অবসম্ভাবী প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যুর দায় প্রকৃতির উপর চাপানো যায় না। আপনারা জানতেন, অপরিকল্পতভাবে পর্যাপ্ত ঢাল রক্ষা না করে এবং ভূমিধ্বস ঠেকানোর জন্য পাইলিং-সিমেন্টিংসহ ড্রেইনেজ না করে পাহাড় কাটার ফলাফল কি হতে পারে। তারপরও অধিক মুনাফার জন্য এইসব প্রিকশন না নিয়ে কেবল পাহাড় কেটেই ক্ষ্যান্ত হন নাই, মাসিক চাঁদা নির্ধারণ কওে সেই ঝুঁকিপূর্ন পাহাড়ের ঢালে গরিব মানুষকে বাসা-বাড়ী তৈরী করে জীবন্ত কবর হবার পারমিট দিয়েছেন। বন বিভাগ ও বন মন্ত্রনালয় এ দায় এড়াতে পারে না। শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে কি দেড় শতাধিক মানুষকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব? রাষ্ট্র সরকার ও মন্ত্রনালয়ের অবহেলায় দেশের মানুষ বারবার জীবন দিবে আর সরকার দুঃখ প্রকাশ ও শোক বাণী দিয়ে ক্ষান্ত হবে, এমন অপদার্থ রাষ্ট্র সরকাওে প্রয়োজন কি? যে রাষ্ট্রের কর্ণধাররা নাগরিকদেও প্রাণ স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে দেয়।
আজ (বুধবার) এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া উপরোক্ত কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে কোন দুর্যোগ হলে অন্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা বিদেশ সফর বাতিল করে নিজ দেশে দ্রুত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। অথচ আমাদের দেশে পাহাড় ধসে নিহত অসংখ্য লাশের স্তুপ ডিঙ্গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আনন্দ ভ্রমণে সুইডেন সফরে বেরিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, এতো বড় বিপর্যয়ে লাশের সংখ্যা যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তখন সরকার প্রধান ভ্রুক্ষেপহীন, নিরুদ্বেগে বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন। আমরা মনে করি বর্তমান সরকারের জনগনের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বলেই জনগণের বিপদের সময় নির্লজ্জ আচরণ করছেন। এখন বিদেশিদের মন রক্ষা করে ভোটারবিহীন সরকারের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী বিদেশে ছোটাছুটি করছেন। বিদেশের যে সমস্ত কনফারেন্সে সচিব পর্যায়ের বা প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের লোক যাওয়ার কথা সেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হচ্ছেন।
Leave a Reply