আইএবি নিউজ : সোমবার (২৮ আগস্ট’১৭) ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী আবারো মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। রাখাইন রাজ্য যেন পুনরায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, জলবায়ু সংকটসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকটে বাংলাদেশ যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে তেমনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ বিশ্বের সর্বাধিক রোহিঙ্গা শরনার্থী বাংলাদেশেই আশ্রয় নিয়েছে; যার সংখ্যা চার লক্ষাধিক। এই সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। তাছাড়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের “বাঙালি সন্ত্রাসী” আখ্যা দিয়ে চরম ঔদ্বত্য প্রদর্শন করেছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ বিষয়টিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বিবেচনা না করে জাতিসংঘ-ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
গত কয়েকদিনের অব্যাহত সহিংসতায় আবারো প্রায় শতাধিক মানুষ নিহত ও সহস্রাধিক আহত হয়েছে। মানবতাবাদি সংস্থাগুলো এক্ষেত্রে নিরব ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ শুধু উদ্বেগ জানিয়ে দায় এড়াতে চাচ্ছে। এদিকে নিরুপায় রোহিঙ্গারা বরাবরের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার আশায় নাফ নদী সাঁতরে এপারে আসার চেষ্টা করলে বিজিবি ও কোস্টগার্ড তাদের গ্রেফতার করে ওপারে ফেরত পাঠাচ্ছে।
১৯৭১ এ হত্যা, নির্যাতন ও জুলুমের শিকার হয়ে আমাদের প্রায় এক কোটি জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছিলো। আমরা নিগ্রহের বেদনা বুঝি। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে না দাঁড়ানো হবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সিদ্ধান্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পারেন বৈশ্বিক নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করতে। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্ব মুসলমান ও বিশ্ব মানবতার হৃদয়ে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন হবেন।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব সংস্থাগুলো বক্তব্য বিবৃতির আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বৃটিশরা ক্ষমতায় থাকাকালীন রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা করেছিল, এখন তারা চুপ কেন? তাই বিশ্ব নেতৃত্বকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান না হলে বিশ্ব মুসলিম বসে থাকবে না। বাঙালিরা কাঁটাতারের সীমানা মানবে না। নেতৃদ্বয় জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ সকল বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কর্মসূচি : মিয়ানমারে অব্যাহত মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী ৩০ আগস্ট’১৭ বুধবার, বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে “বিক্ষোভ মিছিল”।
Leave a Reply