খুলনা সংবাদদাতা : রাখাইনে চলছে লাশের মিছিল। বাতাসে শুধু লাশের গন্ধ। ছোট্ট ছোট্ট মানবশিশুর লাশ ভাসছে বঙ্গোপসাগরে। আহা কত ছোট্ট ছোট্ট শিশুগুলো! লাশগুলোর দিকে তাকালেই চোখে জল আসে! এসব দেখেও জাতিসংঘের কি কিছুই করার নেই? জাতিসংঘ বাকরূদ্ধ না থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যা প্রতিরোধ করুন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা ও মহানগরের উদ্দ্যোগে গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর’১৭ (শুক্রবার) খুলনা নিউ মার্কেট সংলগ্ন বাইতুল নুর মসজিদের উত্তর গেটে মায়ানমার দেশের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর পাষবিক অত্যাচার, গণধর্ষণ ও নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিকাল ৩টায় বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ামনারের রাখাইনে সহিংসতার মুখে পড়ে গত ১০ দিনে এক লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছেড়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন শত শত রোহিঙ্গা মুসলিম। দাঙ্গা কবলিত রাখাইন থেকে হিন্দুরাও পালিয়ে যাচ্ছেন। সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার থেকে গুলি-বোমা ছুড়ছে। নির্মম এহত্যা বন্ধ না করলে বিশ্ব মুসলিম মিয়ামনার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে বাধ্য হবে।
সংগঠনের নগর সভাপতি মাও. মুজ্জাম্মিল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি মাও. আব্দুল্লাহ আল ইমরান। সংগঠনের নগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন এর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, সজীব মোল্লা, মুসা লস্কার, মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন, তরিকুল ইসলাম কাবির, মোঃ হারুন অর রশিদ, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, যুব নেতা মোঃ ঈসমাইল হোসেন, মোঃ ইমরান মিয়া ডা. শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, মাও তাওহিদুল ইসলাম মামুন, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ছাত্র নেতা শেখ মোঃ আমিরুল ইসলাম, কে. এম. আব্বাস আলী, মুঃ ইসহাক ফরিদী, মুঃ আঃ সালাম জায়েফ, নাজমুল হাসান, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল বেড় হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করে পাওয়ার হাউস মোড়ে এসে শেষ হয়।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, তাদের দুর্দশা নাটকীয়ভাবে ঘনীভূত হয় ২০১২ সালে যখন দু’টি ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয় এবং পাশাপাশি অবস্থিত মুসলিম ও বৌদ্ধ রাখাইনদের বর্ণবৈষম্যের ভিত্তিতে আলাদা করে ফেলা। এরপর থেকে তারা চরম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিনাদিপাত করে আসছে। সর্বশেষ সংকটটির সৃষ্টি হয় ৯ অক্টোবর মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের উপর আক্রমণের একটি ঘটনায়, যাতে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের ৯ জন সদস্য নিহত হন। এই আক্রমণ কারা, কিভাবে ও কেন করলো সে সত্য এখনো উদ্ঘাটিত হয়নি, তবে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রোহিংগাদের একটি গ্রুপকে এজন্য দায়ী করছে। এই অভিযোগ যদি সত্য হয়েও থাকে, এতে সামরিক বাহিনীর প্রতিক্রিয়া একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য সন্দেহভাজনদের আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারের মুখোমুখি করা এক জিনিষ, আর হাজার হাজার নিরীহ বেসামরিক নাগরিকের উপর হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে গুলিবর্ষণ করা, নারীদের ধর্ষণ করা এবং শিশুদের আগুনে নিক্ষেপ করা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিষ।
Leave a Reply