কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে শুক্রবার জুমার নামাযের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার শাখার নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
উল্লেখ্য যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসী কর্তৃক রোহিঙ্গ মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর চরমোনাই হযরত পীর মিয়ানমার অভিমূখে লংমার্চ এর ডাক দেন। ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে লংমার্চ এর কর্মসূচী দেওয়া হলেও পুলিশি বাঁধার মুখে যাত্রাবাড়ী কাজলা ব্রিজের সামনে আয়োজন করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর সকাল হতেই সারাদেশ হতে হাজার হাজার কর্মী আসতে থাকে, কিন্তু পুলিশ গাড়ীর ব্যানার ছিড়ে ফেলে,কর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং দলীয় কার্যালয়ে আমীর সাহেবকে অবরোদ্ধ করে রাখে।
মিয়ানমার অভিমূখে লংমার্চে পুলিশি বাঁধা প্রদান করা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে শহীদি মসজিদ চত্ত্বর হতে বিশাল মিছিল বের হয়ে কালীবাড়ী মোড়, আখড়া বাজার হয়ে আবার শহীদি মসজিদের সামনে রাস্তায় সমাবেশ করে। নেতাকর্মী ও সমর্থকগন রাস্তার মাঝেই বসে প্রতিবাদ জানায়।
সমাবেশে কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি মাও. আলমগীর হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, সরকার লংমার্চে বাঁধা প্রদান করে দেশবাসীর অনুভূতিতে আঘাত করেছে। বক্তব্যে আরো বলেন আমরা কোন রাজনৈতিক ইসুতে রাজপথে লংমার্চ করতে নেমেছিলাম না, সরকার পতনের ডাকে রাস্তায় নামিনি, বরং রোহিঙ্গা মুসলমান ভা্ইদের উপর হত্যা, নির্যাতন, লু্ন্ঠন বন্ধের দাবিতে মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ যাচ্ছিলাম, কিন্তু সরকার বাঁধা প্রদান করে প্রমাণ করলো এ সরকার মুসলমানদের সরকার নয়।
সমাবেশ শেষে বিশ্ব শান্তির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবধিকার রক্ষা হয় যেন প্রতিটি মানুষের আল্লাহর কাছে এই কামনা করে সমাবেশ সমাপ্তি হয়।
Leave a Reply