আইএবি নিউজ : রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত গতিতে চলছে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে বিমানে কক্সবাজার পৌঁছে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সাথে এক মতিবিনিময়ে মিলিত হন পীর সাহেব চরমোনাই এবং সরকারি ত্রাণ তহবিলে নগদ অর্থ প্রদান করেন। সেখান থেকে কুতুপালনং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শণ করে তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। রোহিঙ্গাদের অবর্ননীয় দু:খ দুর্দশার কথা শোনে পীর সাহেব চরমোনাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এরপর পীর সাহেব বালুখালী দাখিল মাদরাসা ক্যাম্প পরিদর্শণ করেন এবং ত্রাণ বিতরণ করেন। সেখান থেকে লেদা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
তার সফরসঙ্গী রয়েছেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, ছাত্রনেতা জি এম রুহুল আমীন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, মাওলানা মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিকেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইসলামী আন্দোলনের ত্রাণ টিমের স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্যান্য সকলের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি সকলকে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে যাওয়ার তাগিদ প্রদান করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সোচ্চার ভুমিকা পালন করে আসছে। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির তত্ত্বাবধানে ১০টি টিম রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ত্রাণ বিতরণ, টিউবয়েল স্থাপন, বাথরুম নির্মাণ এবং ছাউনী নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করে সে সেলের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন, সহযোগি সংগঠনের নেতৃত্বে আগত ত্রাণ টিমকে নির্দেশনা প্রদান করে সে আলোকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহতভাবে চলছে। সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের ত্রাণ, সহযোগিতা, বাড়ীঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও অংসান সুচির খুটির জোর কোথায় তা খুজেঁ বের করতে হবে। সুচি রক্ত পিপাসু খুনি। তার বিচার হতে হবে। সুচি না থামলে আরাকান দখলের ঘোষণা দিয়ে আরাকানকে স্বাধীন করে রোহিঙ্গাদের ফেরৎ দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের অনেক কিছু প্রয়োজন। তাই ত্রাণ নিয়ে যারাই আসবে তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণে সহযোগিতা সরকারকে করতে হবে এবং যারা শরণার্থী হয়ে আমাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সকল ধরণের নিরাপত্তা বিধান করাও আমাদের এবং সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য।
Leave a Reply