হাবিব রুদ্র || আজ ধর্ষণবিরোধী ব্যানারের নাম দিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করলো বিশ্বজিৎ হত্যার আসামি, এমসি কলেজে নববধূ ধর্ষণের আসামী, ধর্ষণের সেঞ্চুরি করা মানিকের দল, চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেন সন্ত্রাসী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে নরকে পরিণত করা দল, ফরিদপুর পলিটেকনিক্যাল এর অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলা কর্মীদের দল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্নীতিতে অভিযুক্ত, দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ছোট শিশুদের উপর হামলাকারী, কোটা আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের উপর হেলমেট বাহিনী রুপে আবির্ভূত হওয়া দল, সহস্র ধর্ষণের সাথে জড়িত সংগঠন, দেশব্যাপী ভোট চুরির দায়িত্ব নেওয়া দল। লেখতে গেলে এমন অনেক গুণে গুণান্বিত দল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে আসা এমন অপরাধীরা যখন কাউকে জঙ্গি সংগঠন বলে উস্কানীমূলক বক্তব্য দেয়, তখন আমাদের মনে পড়ে যায় বহুল ব্যবহৃত সেই প্রবাদ “চোরের মায়ের বড় গলা”।
জনাব সনজিত সাহেব, আপনার সংগঠন নানা অপরাধে কলংকিত হওয়ার পরও যখন আপনি ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ করেন তখন আমরা আশাবাদী হই, কিন্তু সে সমাবেশে যখন আপনার মত সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতিনিধির মুখ থেকে এদেশের শান্তিপ্রিয় ছাত্রজনতার প্রিয় সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনকে জঙ্গী সংগঠন বলে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা আসে তখন সে কথা হাস্যকর বৈকি!
জনাব সনজিত সাহেব, আপনার মত অছাত্রকে ঢাবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে মনে রাখবেন। আপনি রাজপথের ভয় দেখাচ্ছেন কাকে? আমরা রাজনীতি করি ঢাবির নিয়ম মেনে। আমরা রাজনীতি করি এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে। আমরা রাজনীতি করি ঢাবির শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় নিয়ে। আমরা দুর্নীতি, ধর্ষণে অভিযুক্ত নই। আমরা সন্ত্রাস ও টেন্ডারবাজীতে অভিযুক্ত নই। অতএব আমরা জঙ্গী নই বরং আমরা এদেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন শুধু ঢাবি নয় বরং সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসী সনজিতদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে। সারাদেশের সকল মা-বোন এক হয়ে ধর্ষকদের দল ছাত্রলীগকে এদেশে থেকে বিতাড়িত করবে। এদেশের প্রত্যেক পিতা ও স্বামীর নিকট ছাত্রলীগের ছেলেরা হবে একাত্তরের রাজাকার আলবদরের চেয়ে নিকৃষ্ট পরিচয়বহনকারী হিসেবে। সনজিতরা সাবধান হও! রাজপথ থেকে তোমাদের বিতাড়িত করতে তনু, খাদিজা ও বিশ্বজিৎ এর প্রতিচ্ছবিরা নেমে পড়বে, তোমরা পালাবার জায়গাও হয়ত তখন পাবে না।
-লেখক
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Leave a Reply