তাওহীদ আদনান : চরমোনাইর চলতি বৎসরিক ফাল্গুনের মাহফিলের ওলামা সম্মেলনে দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র মুদাররিস ও উস্তাদুত তাফসীর আল্লামা মুফতী রাশেদ আজমী সাহেব দা. বা. বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দ একটি আলমী মারকাজ।
বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই দেওবন্দের ফয়েজ। পীর সাহেব চরমোনাইও এই ওলামায়ে দেওবন্দেরই ফয়েজ ও বারাকাত। মুফতী রাশেদ আজমী বলেন, চরমোনাইর এই মজলিসে, এই মজমায়, এই মাহফিলে উপস্থিত হতে পেরে খুবই খুশী লাগছে আমার। এটা একটি বরকতপূর্ণ মজলিস। একটি মকবুল মজলিস এই চরমোনাইর মজলিস।
যে সকল লোক দাড়ি রাখে না, এই মজলিসে আসার পর তারা দাড়ি রাখতে শুরু করে। যে সকল লোক নামাজ পড়ে না, এই মজলিসে আসার পর তারা নামাজ পড়তে শুরু করে। এরচেয় প্রিয় আর বরকতপূর্ণ মজলিস কোনটা হতে পারে? এরচেয়ে ফজিলতপূর্ণ মজলিস আর কোনটা হতে পারে? তিনি আরো বলেন, পীর সাহেব চরমোনাই একজন বিনয়ী মানুষ। তার বাবা মরহুম পীর সাহেবও ছিলেন অতি বিনয়ী লোক। মরহুম পীর সাহেব এতই বিনয়ী ছিলেনে, তিনি এত বড় একজন পীর হওয়া সত্ত্বেও নৌকায় চড়ে চড়ে তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে চলে যেতেন দ্বীনের পয়গাম নিয়ে, দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে। এটা আল্লাহর জন্য তার বিনয়ের নমুনা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয় আল্লাহ পাক তার মাকাম উঁচু করে দেন। তার সেই বিনয়ের দরুন আল্লাহ পাক তাকে পৌঁছে দিয়েছেন এত উঁচু মাকামে। বয়ান করতঃ মুফতী রাশেদ আজমী বলেন, বিনয় এটা উলামায়ে দেওবন্দের শান। উলামায়ে দেওবন্দ সর্বদা বিনয়ী।
পীর সাহেব চরমোনাইও ওলামায়ে দেওবন্দেরই ফয়েজ ও বারাকাত। বিনয়ের অনন্য দৃষ্টান্ত তাদের মাঝেও রয়েছে। তাদের এই মজলিস, তাদের এই মাদরাসা, তাদের এই মারকাজ সবকিছু তাদের বিনয়েরই ফল। তাদের তাওয়াজুর বদৌলতেই আজ তাদের এই মাকবুলিয়্যাত।
Leave a Reply